স্বদেশ ডেস্ক:
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই মেয়র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ দুজন হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলামকে (বাবুল)। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রার্থীদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘আজ ৩০ মে প্রকাশিত প্রথম আলো পত্রিকার “আচরণবিধি লঙ্ঘন চলছেই, বন্ধে নেই পদক্ষেপ’ শিরোনামে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, আপনি নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন।’
প্রার্থীদের উদ্দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার চিঠিতে বলেছেন, ‘আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আপনি স্বয়ং অথবা আপনার উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।’
গতকাল সোমবারবাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। একই দিন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলামকে (বাবুল) নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতীকসংবলিত প্রচারপত্র বিতরণ করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।